আপনি দেশে বা প্রবাশে যেখানেই থাকুন খুব সহজেই অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আমাদের দেওয়া লিংকটিতে প্রবেশ করে নির্দেশনা অনুযায়ী ফরমটি পূরন করুন।
Table of Contents
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য নীচের ধাপসমূহ অনুসরন করতে হবে
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করতে উপরের লিংকে প্রবেশ করুন। উপরের লিংটিতে ক্লিক করার সাথে সাথে নীচের পেজটি দেখতে পাবেন।

সেখানে Apply Online for e‑Passport / Re‑Issue লিখার উপর চাপ দিন। Apply Online for e‑Passport / Re‑Issue লিখার উপর চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের পেজটি খুলে যাবে। এখানে আপনার তথ্যগুলো দিতে হবে। আপনি যদি বাংলাদেশ হতে আবেদন করেন তাহলে Yes লিখার উপর চেক মার্ক দিন। যদি আপনি অন্যকোন দেশ হতে আবেন করেন তাহলে No লিখার উপর চেক মার্ক দিন। প্রথম ঘরে আপনার জেলা এবং পরের ঘরে আপনার থানা সিলেক্ট করে continue বাটনে চাপদিন।

continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের পেজটি খুলে যাবে।

এখানে আপনার ইমেইল নাম্বার দিয়ে I am human লিখাটিতে চেক মার্ক দিয়ে continue বাটনে চাপ দিন। continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের পেজটি খুলে যাবে।

এখানে আপনার নাম ,মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরী করতে হবে। আপনি আপনার এই একাউন্ট থেকে আপনার পাসপোর্ট এর পরবর্তী অবস্থাগুলো দেখতে পারবেন। আপনার তথ্যগুলো দিয়ে I am human বাটনে চেক মার্ক দিয়ে create account বাটনে চাপ দিন। চাপ দেওয়ার সাথে সাথ আপনার দেওয়া ইমেই নাম্বারে একটি ইমেইল যাবে। ইমেইলটি ওপেন করে click HERE এ চাপ দিলে আপনার একাউন্ট তৈরী হয়ে যাবে।
এবার log in বাটনে চাপ দিয়ে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করলে নীচের পেজটি দেখতে পাবেন।

এখানে Apply for a new passport বাটনে চাপ দিন।চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের পেজটি খুলে যাবে।

আপনি যদি আপনার নিজের প্রয়োজনে পাসপোর্টটি তৈরে করেন তাহলে ordinary passport এ চেক মার্ক দিন। যদি আপনি অফিসিয়ালি ব্যবহারের জন্য পাসপোর্ট তৈরী করেন তাহলে Official passport এ চেক মার্ক দিয়ে save and continue বাটনে চাপ দিন। continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের পেজটি ওপেন হবে।


এখানে আপনি I apply myself ঘরটিতে চেক মার্ক দিয়ে আপনার যাবতিয় তথ্য দিয়ে ঘরগুলো পুরন করে save and continue বাটনে চাপ দিন। save and continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের মত নতুন পেজ ওপেন হবে সেখানে আপনার পূর্ন ঠিকানা দিয়ে ঘরগুলো পুরন করতে হবে।

খুব যত্নসহকারে আপনার পূর্ন ঠিকানা দিয়ে ঘরগুলো পুরন করে save and continue বাটনে চাপ দিন। save and continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের মত একতি পেজ ওপেন হবে, এখানে আপনার পূর্ববর্তী কোন পাসপোর্ট আছে কিনা তা জানতে চাইবে এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারটি দিয়ে save and continue বাটনে চাপ দিন।

save and continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের পেজটি খুলে যাবে । এখানে আপনার পিতা মাতার যাবতীয় তথ্য দিয়ে ঘরগুলো পুরন করে save and continue বাটনে চাপ দিন।

save and continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের পেজটি খুলে যাবে । এখানে আপনার বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। যদি আপনি অববাহিত হয়ে থাকেন তাহলে unmarried সিলেক্ট করে save and continue বাটনে চাপ দিন।

যদি আপনি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে married সিলেক্ট করার সাথে সাথে নীচের মত পেজটি ওপেন হবে। এখানে আপনার স্ত্রীর তথ্য দিয়ে ঘরগুলো পুরন করে save and continue বাটনে চাপ দিন।

save and continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের পেজটি খুলে যাবে । এখানে আপনার সাথে জরুরি ভিত্তিতে যেন যোগাযোগ করতে পারে এমন কোন ব্যক্তির তথ্য দিতে হবে। হতে পারে সে আপনার পিতা,মাতা,ভাই বা স্ত্রী।

ফর্মের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে save and continue বাটনে চাপ দিন। save and continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের মত পেজটি খুলে যাবে । এখানে আপনার পাসপোর্টটি কত বছর মেয়াদে করবেন তা জানতে চাইবে। আপনি যদি ৫ বছর মেয়াদে করতে চান তাহলে সেই অনুযায়ী টাকার পরিমান দেখাবে। আবার আপনি যদি ১০ বছর মেয়াদে করতে চান তাহলে সেই অনুযায়ী টাকার পরিমান দেখাবে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সিলেক্ট করে save and continue বাটনে চাপ দিন।

save and continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের মত পেজটি খুলে যাবে । এখানে আপনার পাসপোর্টটি আপনি কি দ্রুত নিতে চান নাকি নিয়মিত নিয়মে নিতে চান সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।
যদি আপনি দ্রুত নিতে চান তাহলে টাকার পরিমান রেগুলারের চেয়ে বেশি পরিশোধ করতে হবে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী ঘরটি সিলেক্ট করে save and continue বাটনে চাপ দিন।

ave and continue বাটনে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নীচের মত একটি পপাপ ওপেন। আপনার দেওয়া তথ্যগুলো পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হবে সেজন্য আপনার তথ্যগুলো আবার যাচাই করতে বলা হচ্ছে। confirm and proceed to payment বাটনে চাপ দিন।

confirm and proceed to payment বাটনে চাপ দিয়ে কনফার্ম করে দেবার সাথে সাথে নীচের মত একটি পেমেন্ট পেজ চলে আসবে।

এখানে আপনি টকাটা অনলাইনে দেবেন নাকি অফলাইনে দেবেন তা সিলেক্ট করতে হবে। যদি আপনি অফলাইনে দিতে চান তাহলে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধর করতে হবে।
যদি আপনি অনলাইনে দিতে চান তাহলে অনলাইন পেমেন্ট সিলেক্ট করে continue বাটনে চাপ দিলে নীচের ছবির মত মত পেজটি চলে আসবে। সেখান হতে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিকাশ, রকেট, নগদ সহ অন্যান্য পেমেন্ট ম্যাথডের মাধ্যমে আপনার টাকা পরিশোধ করতে পারেন।

টাকা পরিশোধ করে পরিশোধ রিসিভ এবং আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সাথে নিয়ে আপনার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার আংগুলের ছাপ, আইরিশ এবং ছবি তুলে দিয়ে আসতে হবে ।
পাসপোর্ট অফিসে যাবার সময় নীচের কাগজপত্র অবশ্যই সাথে নিবেন।
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র
- আবেদন ফরমের কপি।
- পেমেন্ট রিসিভ।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (NID)/ জন্ম সনদ।
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- বিবাহিত হলে বিবাহের সনদ(ম্যারিজ সার্টিফিকেট)
- সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC (যদি থাকে)
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পুরনের নির্দেসশনাবলী
১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।
২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
৪। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৬। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-
(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version).
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)
(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।
২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে ।
তথ্য সূত্রঃ বহিরাগমন শাখা ১ , সুরক্ষা সেবা বিভাগ , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়স্মারক নং ৫৮.০০.০০০০.০৪০.০১.০০৩.১৬-১২৩৪
আমাদের সেবা সমূহ
- অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন।
- অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ।